প্রকাশিত: ১১/১১/২০১৭ ৮:৫১ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১১:১৮ এএম

উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
দিল্লিতে অবস্থানরত ঢাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত ৭৬টি দেশের অনাবাসী রাষ্ট্রদূতদের কাছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ।

দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মুয়াজ্জেম আলী বিদেশী রাষ্ট্রদূতদের দেয়া ব্রিফিংয়ে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টিতে যেকোনো আন্তর্জাতিক উদ্যোগের প্রতি সমর্থন চেয়েছেন।

এছাড়া হাইকমিশনার দিল্লিতে আজ দেয়া এক ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ কিভাবে ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিচ্ছে এবং জাতিসঙ্ঘের ভাষ্যমতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ‘জাতিগত নিধনযজ্ঞ’র মানবিক বিপর্যয় সামাল দিচ্ছে তা সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন।

জাতিসঙ্ঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের নেতৃত্বে গঠিত কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের মাধ্যমে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের জন্য বসবাসের অনুকূল পরিবেশ তৈরি এবং বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টিতে ঢাকার ধারাবাহিক প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে দিল্লিতে এসব আয়োজন করা হলো। এর আগে ঢাকায় অবস্থিত বিদেশী রাষ্ট্রদূতদের রোহিঙ্গা পরিস্থিতির ওপর দফায় দফায় ব্রিফ করে সহায়তা চেয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এদিকে কলকাতা থেকে প্রকাশিত আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমার নীতিগতভাবে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি আছে। তবে প্রত্যাবাসনের শর্ত হবে বেশ কড়া।

মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পার্মানেন্ট সেক্রেটারি ইউ কিইয়াও জেয়া জানান, দেশের স্টেট কাউন্সিলার আং সান সু চি গত ১২ অক্টোবর প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমারের নীতিগত অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। পুনর্বাসন এবং উন্নয়নের কাজও শুরু হচ্ছে। কিন্তু রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে আনার কাজ হবে চারটি শর্ত সাপেক্ষে। যারা সেই শর্ত পূরণ করতে পারবেন, শুধু তাদেরই ফিরিয়ে নেয়া হবে। এসব শর্তের মধ্যে রয়েছে, যেসব রোহিঙ্গা মিয়ানমারে দীর্ঘদিন বসবাসের প্রমাণপত্র দেখাতে পারবেন, স্বেচ্ছায় রাখাইনে ফিরতে চাইবেন, পরিবারের কেউ রাখাইনে রয়েছেন তেমন প্রমাণ দেখাতে পারবেন এবং বাংলাদেশে কোনো বাচ্চা জন্মালে তার বাবা-মা উভয়েই মিয়ানমারের স্থায়ী বাসিন্দা প্রমাণিত হলেই কেবল তাদের ফিরিয়ে নেয়া হবে।

গতকাল শুক্রবার ইয়াঙ্গুনে ‘ভারত-মিয়ানমার সম্পর্কের আগামী দিন’ বিষয়ক এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই শীর্ষ কূটনীতিক। কলকাতার ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল অ্যান্ড কালচারাল স্টাডিজ, ইয়াঙ্গুনের ভারতীয় দূতাবাস এবং মিয়ানমার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের থিঙ্ক ট্যাঙ্কের বিশেষজ্ঞরাও এতে যোগ দেন।

পাঠকের মতামত